গত এক দশকে আমাদের সহজ যাতায়াত ও ব্যাক্তিগত পরিবহন হিসেবে মোটরসাইকেল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, অনেকের কাছে এটি শখেরও বটে। তবে এই শখের ও অতিপ্রয়োজনিয় আস্থা জনক বাহনটির আমরা অনেকেই সঠিক যত্ন নিতে চাই না। আজ আপনাদের আমি জানাবো কিভাবে আপনার যাতায়াতের সঙ্গী ও শখের এই বাহনটির সঠিক যত্ন কিভাবে নিবেন। চলুন শুরু করা যাক।
আরও এমন বাইক টিপস ও মোটর বাইকিং ট্রিক্স পেতে আমাদের Alpha Machinery and Motors Facebook page এবং Website এর সাথে যুক্ত থাকার অনুরোধ থাকবে।
এখানে আমি পুরো বিষয় টাকে তিনটা ভাগে ভাগ করে বলবোঃ-
১. প্রাথমিক রক্ষনাবেক্ষণ:
আপনি আপনার মোটরবাইক টি যদি নতুন শোরুম থেকে কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাইটির ইঞ্জিন এর ব্রেক-ইন পিরিয়ড মেনে চলতে হবে। এটি ০ থেকে 2000 কি.মি পর্যন্ত হতে পারে। ব্রেক-ইন পিরিয়ড এ আপনার বাইকটি ৪০০০ RPM এর নিচে রেখে রাইড করুন। ব্রেক-ইন পিরিয়ড চলাকালীন প্রতি 500 কি.মি তে পৌঁছালে Engine Oil পরিবর্তন করুন। এটি মেনে চলুন যতক্ষণ না আপনি ২০০০ কি.মি মাইলস্টোনে পৌঁছাবেন। আপনার বাইকের Brake-in চলা কালিন খনিজ Engine Oil ব্যবহার করা উত্তম, এর পর Brake-in পিরিয়ড শেষ হলে আপনি সিনথেটিক Engine Oil এর দিকে যেতে পারেন। প্রতিবার Engine Oil পরিবর্তনের সময় Oil Filter টি ও পরিবর্তন করে নিন। Engine এর সাথে গ্রেড জেনে সঠিক গ্রেডের Engine Oil ব্যবহার করুন।
আপনি আপনার বাইকটির Brake-in পিরিয়ড মেইটেইন করুন এতে আপনার বাইকের Engine টি মুক্ত হয়ে যাবে এবং সেই অনুযায়ী Clutch ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ গুলো ভালোভাবে সেট-আপ হয়ে যাবে, যার ফলে আপনি একটি স্মুথ Engine Performance পাবেন।
আপনি যখনই আপনার বাইকের সার্ভিস করাবেন তখন আপনার বাইকের চেইন টি চেক করুন, এটি খুব ঢিলে বা খুব টাইট কিনা তার উপর সামঞ্জস্য রেখে এটি ঠিক করে নিন এবং প্রতি 100 কি.মি তে এটি একবার লুব করুন।
২. নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ:
আপনার ব্রেক ইন পিরিয়ড শেষ এখন আপনি একটু আরামের সাথে কাজ করতে পারেন, এখন আপনার Engine Oil এবং Oil Filter পরিবর্তনের ব্যবধান 1000 থেকে 1500 কি.মি তে করানো উচিত। আবার আপনি যদি মনে করেন খনিজ Engine Oil ব্যবহারেই নিয়মিত থাকবে থাকতে পারেন, আর যদি আপনার 3000 কি.মি পূর্ণ হয়ে যায় তবে Sinthetic Engine Oil ব্যবহার করতে পারেন। এরপর প্রতি বার Engine Oil পরিবর্তনের সময় আপনার বাইকের Air Filter, Spark Plug, Brake Pad এই গুলো পরিষ্কার করে নিতে পারেন। Clutch Cable যতবার পারেন Lube করে নিন, Clutch টি সামঞ্জস্য করে নিন যাতে এটি স্মুথলি কাজ করতে পারে।
বাইকের থট্রল সামঞ্জস্য করে নিন, ভালো পাম্প থেকে অকটেন রিফিল করুন। জ্বালানিতে আরো ভালো পারফর্মেন্স পেতে Octane Booster ব্যবহার করতে পারেন, তবে ঘন ঘন ব্যবহারের ফলে Engine নষ্ট হতে পারে।
৩. দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ
আপনি যখন কিছু কিলোমিটার রাইড করে ফেলেছেন ভাবছেন আপনার বাইকের আর কোন ধরনের সার্ভিসের প্রয়োজন আছে কিনা বা দরকার কিনা? হ্যাঁ সার্ভিসের দরকার আছে। 4000 থেকে 5000 রাইডের পর Tapped Adjust করে নিন, এতে জ্বালানি খরচ কমাতে সাহায্য করবে এবং বাইকটিকে আরও স্মুথ করবে। Brake Pad/Brake Shoe 4000 পতিস্থাপন করুন। এগুলো আগে পরিবর্তন না করা হলে 10000 কি.মি পর এই অংশ গুলোর একটি তালিকা নোট করুন: Air Filte, Sproket Sprocket-Chain set, Clutch-Cable, Throtol-Cable, বল রেসার বিয়ারিং, এবং Spark-Plug। আপনি যদি পদক্ষেপ গুলো সঠিক ভাবে নিতে পারেন, তবে আপনার শখের মোটরযানটি আপনাকে অন্য লেভেলের দির্ঘমেয়াদী পারফর্মেন্স দিবে।
যাইহোক মনে রাখবেন, ঘটনা এবং দূর্ঘটনা যে কোন সময় আসতে পারে, তাই বাইক মেরামত ও রাইডের সময় সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী।
সবসময় সাবধানতার সাথে নিরাপদে রাইড করুন, সার্টিফাইড Helmet পরুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
আরও বাইক সর্ম্পকিত ব্লগ, টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে আমাদের Alpha Motors website এ ভিজিট করুন, আর বাইকের জন্য Authentic সব Accessories কেনার জন্য আমাদের বাইক শপ Jashore Automobile Ltd ভিজিট করুন।